অষ্টমীর সকাল।
পাড়়ার পুজো মন্ডপে বসে গল্প করছে রাজু, ভোম্বল, গুগুল, হোদল, পটলা, টিটু। অঞ্জলি দেওয়া হয়ে গেছে ওদের।
"যাই বল ভাই, পুজোর এই কটা দিনের মজাই আলাদা" বলল হোদল।
"যা বলেছিস, স্বাধীনতা কাকে বলে এই ক-দিনেই শুধু বোঝা যায়। টিউসান, মা-বাবা-র শাসন থেকে মুক্তি।" বলল ভোম্বল।
"যত খুশি রোল, মোগলাই, চিপস, কোল-ড্রিঙ্কস খাও। .. কেউ কিছু বলার নেই। " বলল পটলা।
"এই যে 'স্বাধীনতা-জিন্দাবাদ'-রা, বলি আজকের প্লান কি?", বিরক্ত মুখে জানতে চাইল টিটু।
"প্লান? ....... ভাবিনি তো কিছু ", বলল রাজু।
"এখন তো আড্ডা। ... তারপর ..... দুপুরে পাড়়ায় খাওয়া-দাওয়া ......... আসছিস-তো?", জানতে চাইল গুগুল।
"হ্যা, আসব-না মানে! পাড়়ার সবাই মিলে বসে খাওয়ার মজাই আলাদা।", বলল পটলা।
"মেনু কি ?", জানতে চাইল হোদল।
"শুনলাম, ফ্রাইড রাইস, খিচুড়ী, বেগুনি , আলু ভাজা, পাপড়, প্লাস্টিক চাটনি, জিলিপি, রসগোল্লা", বলল গুগুল।
"থাম, থাম ... জিভে জল চলে এল যে!", বলল ভোম্বল।
"খিদে-টা কেমন বেড়ে গেল না। এই হোদল, খাস্তা কচুরি নিয়ে আয়।", বলল পটলা।
"তোর বাবা-কে বল নিয়ে আসতে।", খেপে গিয়ে বলল হোদল।
"আমি আজ দুপুরে খেতে যাচ্ছি না।", হটাত বলে উঠলো ভোম্বল।
"কেন? কি হলো!", বাকিরা অবাক হয়ে জানতে চাইল।
"আমি কোনো বার বেগুনি পাই না। প্রতিবার গুগুল আমার পাশে বসে আর আমার বেগুনি-গুলো খেয়ে নেয়। এই বছর নিলে, হ্যাট-ট্রিক হবে। ", কাচুমাচু মুখ করে বলল ভোম্বল।
"আরে। .. তালে তো এবার তোর পাপড় আর জিলিপি খেয়ে আমরা হ্যাট-ট্রিক সেলিব্রেট করব। ..... মোটু..... তোর পাশে না বসলে আমার পেট ভরবে না!", বলল গুগুল।
"আচ্ছা, দুপুর তো হল, বিকেল আর রাত-এ কি করা যায়?", জানতে চাইল টিটু।
"কলকাতা-য় ঠাকুর দেখতে যাবি? আমরা কোনো দিন বন্ধুরা মিলে যাই নি।", বলল গুগুল।
সবাই চুপ।
"দারুন আইডিয়া! "
"চ, সাউথ-টা ঘুরে আসি। "
"কিন্তু যাবি কি ভাবে?"
"হোদলদের গাড়ি তো রয়েছে "
"চাপ আছে! বাবা গাড়ি ব্যবহার করা কমিয়ে দিয়েছে। আমাকে দেবে বলে মনে হয় না। "
"কেন?"
"আরে, পেট্রলের দাম বেড়ে গেছে না। .... "
"তালে বাস-এ করে চল।"
"তাতেও চাপ আছে .... পেট্রলের দাম না বাড়াতে রাস্তায় বাস খুব কমে গেছে .... আর তাই বাসে প্রচন্ড ভিড় হচ্ছে। ... মারামারি করে ঠাকুর দেখায় কোনো অনন্দ নেই।"
"হোদল, এক বার তোর বাবাকে বলেই দেখ না। "
"ok boss", বলল হোদল।
"বাবা না বলল", বলল হোদল।
"তালে ? যাওয়া হবে না!"
"এই শালা পেট্রল-ই সব কিছুর মূলে!"
"পেট্রলের দাম খুব বাড়ছে এটাও ঠিক।"
"বিদেশে তো এখন ইলেকট্রিক-এ চলে এমন গাড়ি আবিষ্কার হয়েছে।"
"সে তো আরো বিপদ। এমনিতেই কারেন্ট থাকে না, এর উপর গাড়ি কারেন্ট-এ চললে আরো লোডশেডিং হবে। তাছাড়া, তখন বিদ্যুতের দাম বাড়বে, ব্যাপারটা সেই হরে-দরে এক-ই।"
"তালে , এখন কি করা যায়?"
"এই রাজু তুই স্পন্সর কর। বেশী না, ১০ লিটার তেল কিনে দে।"
"১০ লিটার জলের জার কিনে দিচ্ছি, চলবে!"
"Bingo! ভেবে দেখ গাড়ি যদি জলে চলত তালে কেমন হত!", বলে উঠলো ভোম্বল।
"ব্যাপক হত, জলের যোগান তো অফুরন্ত।তাছাড়া পরিবেশ দূষণ-এর ভয়-ও নেই।", বলল রাজু।
"এই গুগুল দেখ না, এরম কিছু হয় কিনা?", বলল পটলা।
"এক মিনিট!", বলল গুগুল।
"সত্যি boss ..... এরকম গাড়ি বানানোর চেষ্টা বহু দিন ধরে চলছে। ৯০-র দশকে স্ট্যানলি মেয়ার নামক এক মার্কিন বিজ্ঞানী জল দিয়ে গাড়ি চালানোর সাফল্য দাবি করেন।", বলল গুগুল।
"উনি জল-কে কি ভাবে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করেন? এর অপারেটিং প্রিন্সিপল-টা কি? ", বলল পটলা।
"জল হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন দিয়ে তৈরি। হাইড্রোজেন একটা অত্যন্ত দাহ্য পদার্থ, যা অক্সিজেন-র সংস্পর্শে এলে জ্বলে ওঠে এবং শক্তি বার করে। স্ট্যানলি মেয়ার এমন একটা Fuel Cell বানান যেটা প্রথমে জল-কে ভেঙ্গে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন তৈরী করে এবং তারপর হাইড্রোজেন-কে পুড়িয়ে শক্তি উত্পন্ন করে সেটা দিয়ে গাড়ি চালান।", বলল গুগুল।
"কিন্তু জল ভেঙ্গে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন তৈরি তো নতুন কিছু নয়। একেই তো electrolysis বলে। ", বলল টিটু।
"একদম ঠিক। Normally, জল ভেঙ্গে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন তৈরি করতে অনেক বেশী শক্তি লাগে। কিন্তু, স্ট্যানলি মেয়ার দাবি করেন যে ওনার আবিষ্কৃত পদ্ধতিতে অনেক কম শক্তি ব্যবহার করে জলে থেকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন তৈরি করা যায়। তারপর সেই হাইড্রোজেন-কে বার্ন করে অনেক বেশি শক্তি পাওয়া যায়। ওনার আবিষ্কারের মূল negative সাইড ছিল যে সেটা প্রচলিত Law of Thermmodynamics-র বিরোধী ছিল।", বলল গুগুল।
"তারপর কি হল?", জানতে চাইল রাজু।
"উনি ওনার আবিষ্কারের অনেক পেটেন্ট-ও নেন। অনেক তেল কোম্পানি ওনার থেকে পেটেন্ট কিনে নিতে চায়, কিন্তু উনি রাজি হননি। ওনার সন্দেহ ছিল যে তেল কোম্পানি ওনার পেটেন্ট কিনে ওনার আবিষ্কার চেপে দেবে। ওনার সন্দেহ খুব ভুল ছিল না। ১৯৯৬ সালে এক Ohio Court স্ট্যানলি মেয়ার-র আবিষ্কারকে জালিয়াতি বলে ঘোষণা করে। এরপর ১৯৯৮ সালে দুই বেলজিয়ান investor-এর সাথে resturant -এ খাওয়ার সময় হটাত করে উনি মারা যান। সম্ভবত ওনাকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয়। মনে করা হয়, তেল কোম্পানিগুলো এর পিছনে ছিল।", বলল গুগুল।
(Youtube থেকে নেওয়া)
"স্ট্যানলি মেয়ার-এর মৃত্যুর পর এই আবিষ্কার-র উপর পর্দা পরে যায়। কিন্তু, গ্লোবাল ওয়ার্মিং-র জন্য আবার এই বিষয় নিয়ে আগ্রহ তৈরী হয়েছে।", বলল গুগুল।
"Recently, কারা কারা এটা নিয়ে কাজ করছে?", বলল হোদল।
"Genepax নামের এক জাপানি কোম্পানি এমন একটা গাড়ি আবিষ্কারের দাবি করেছে যেটা জলে চলে। এদের গাড়ি ১ লিটার জলে ৫০ মাইল যায়। এছাড়া আরো অনেকে এই রকম গাড়ি আবিষ্কারের কথা দাবি করেছে। এছাড়া ২০০৭ সালে, জন কান্জিউস একটা উল্লেখযোগ্য দাবি করেন। উনি লবনাক্ত জলে আগুন জ্বালানোর সাফল্য দাবি জানান। ", বলল গুগুল।
(Youtube থেকে নেওয়া)
"তালে, জল দিয়ে গাড়ি চলার ভবিষ্যত কি? এটা কি সম্ভভ?", , বলল পটলা।
"এট়া একটা বড় প্রশ্ন। একটা লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো যে, কোনো University-র গবেষকরা এই রকম গাড়ির আবিষ্কার-এর দাবি করেননি। জল দিয়ে গাড়ি চলার theory এখনো কোনো University-র গবেষক প্রমান করতে পারেনি। ২০০৭ সালে Nature পত্রিকার এক কলাম-এ Philip Ball লেখেন যে জল দিয়ে গাড়ি চালানো অসম্ভব কারণ জল হল spent fuel যা hydrogen পুড়িয়ে পাওয়া যায়। জল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে গেলে The first and second laws of thermodynamics-কে violate করতে হবে। ", বলল গুগুল।
"সব শুনে মনে হচ্ছে জল দিয়ে গাড়ি চালানো এখনকার physics-এ অসম্ভব।", বলল হোদল।
"হ্যা, শুনতে ভালো লাগলেও জল দিয়ে গাড়ি চালানো কল্পনাই!", বলল পটলা।
"এতক্ষণ ধরে বকবক করে শেষে এই conclusion! তোরা পারিস-ও বটে!", বলল টিটু।
"এবার আসল কথায় আয়। কলকাতায় ঠাকুর দেখতে যাওয়া হচ্ছে?" বলল পটলা।
"আমার মাথায় একটা alternate প্লান এসেছে", বলল ভোম্বল।
"কি?", চেচিয়ে উঠলো সবাই।
পাড়়ার পুজো মন্ডপে বসে গল্প করছে রাজু, ভোম্বল, গুগুল, হোদল, পটলা, টিটু। অঞ্জলি দেওয়া হয়ে গেছে ওদের।
"যাই বল ভাই, পুজোর এই কটা দিনের মজাই আলাদা" বলল হোদল।
"যা বলেছিস, স্বাধীনতা কাকে বলে এই ক-দিনেই শুধু বোঝা যায়। টিউসান, মা-বাবা-র শাসন থেকে মুক্তি।" বলল ভোম্বল।
"যত খুশি রোল, মোগলাই, চিপস, কোল-ড্রিঙ্কস খাও। .. কেউ কিছু বলার নেই। " বলল পটলা।
"এই যে 'স্বাধীনতা-জিন্দাবাদ'-রা, বলি আজকের প্লান কি?", বিরক্ত মুখে জানতে চাইল টিটু।
"প্লান? ....... ভাবিনি তো কিছু ", বলল রাজু।
"এখন তো আড্ডা। ... তারপর ..... দুপুরে পাড়়ায় খাওয়া-দাওয়া ......... আসছিস-তো?", জানতে চাইল গুগুল।
"হ্যা, আসব-না মানে! পাড়়ার সবাই মিলে বসে খাওয়ার মজাই আলাদা।", বলল পটলা।
"মেনু কি ?", জানতে চাইল হোদল।
"শুনলাম, ফ্রাইড রাইস, খিচুড়ী, বেগুনি , আলু ভাজা, পাপড়, প্লাস্টিক চাটনি, জিলিপি, রসগোল্লা", বলল গুগুল।
"থাম, থাম ... জিভে জল চলে এল যে!", বলল ভোম্বল।
"খিদে-টা কেমন বেড়ে গেল না। এই হোদল, খাস্তা কচুরি নিয়ে আয়।", বলল পটলা।
"তোর বাবা-কে বল নিয়ে আসতে।", খেপে গিয়ে বলল হোদল।
"আমি আজ দুপুরে খেতে যাচ্ছি না।", হটাত বলে উঠলো ভোম্বল।
"কেন? কি হলো!", বাকিরা অবাক হয়ে জানতে চাইল।
"আমি কোনো বার বেগুনি পাই না। প্রতিবার গুগুল আমার পাশে বসে আর আমার বেগুনি-গুলো খেয়ে নেয়। এই বছর নিলে, হ্যাট-ট্রিক হবে। ", কাচুমাচু মুখ করে বলল ভোম্বল।
"আরে। .. তালে তো এবার তোর পাপড় আর জিলিপি খেয়ে আমরা হ্যাট-ট্রিক সেলিব্রেট করব। ..... মোটু..... তোর পাশে না বসলে আমার পেট ভরবে না!", বলল গুগুল।
"আচ্ছা, দুপুর তো হল, বিকেল আর রাত-এ কি করা যায়?", জানতে চাইল টিটু।
"কলকাতা-য় ঠাকুর দেখতে যাবি? আমরা কোনো দিন বন্ধুরা মিলে যাই নি।", বলল গুগুল।
সবাই চুপ।
"দারুন আইডিয়া! "
"চ, সাউথ-টা ঘুরে আসি। "
"কিন্তু যাবি কি ভাবে?"
"হোদলদের গাড়ি তো রয়েছে "
"চাপ আছে! বাবা গাড়ি ব্যবহার করা কমিয়ে দিয়েছে। আমাকে দেবে বলে মনে হয় না। "
"কেন?"
"আরে, পেট্রলের দাম বেড়ে গেছে না। .... "
"তালে বাস-এ করে চল।"
"তাতেও চাপ আছে .... পেট্রলের দাম না বাড়াতে রাস্তায় বাস খুব কমে গেছে .... আর তাই বাসে প্রচন্ড ভিড় হচ্ছে। ... মারামারি করে ঠাকুর দেখায় কোনো অনন্দ নেই।"
"হোদল, এক বার তোর বাবাকে বলেই দেখ না। "
"ok boss", বলল হোদল।
"বাবা না বলল", বলল হোদল।
"তালে ? যাওয়া হবে না!"
"এই শালা পেট্রল-ই সব কিছুর মূলে!"
"পেট্রলের দাম খুব বাড়ছে এটাও ঠিক।"
"বিদেশে তো এখন ইলেকট্রিক-এ চলে এমন গাড়ি আবিষ্কার হয়েছে।"
"সে তো আরো বিপদ। এমনিতেই কারেন্ট থাকে না, এর উপর গাড়ি কারেন্ট-এ চললে আরো লোডশেডিং হবে। তাছাড়া, তখন বিদ্যুতের দাম বাড়বে, ব্যাপারটা সেই হরে-দরে এক-ই।"
"তালে , এখন কি করা যায়?"
"এই রাজু তুই স্পন্সর কর। বেশী না, ১০ লিটার তেল কিনে দে।"
"১০ লিটার জলের জার কিনে দিচ্ছি, চলবে!"
"Bingo! ভেবে দেখ গাড়ি যদি জলে চলত তালে কেমন হত!", বলে উঠলো ভোম্বল।
"ব্যাপক হত, জলের যোগান তো অফুরন্ত।তাছাড়া পরিবেশ দূষণ-এর ভয়-ও নেই।", বলল রাজু।
"এই গুগুল দেখ না, এরম কিছু হয় কিনা?", বলল পটলা।
"এক মিনিট!", বলল গুগুল।
"সত্যি boss ..... এরকম গাড়ি বানানোর চেষ্টা বহু দিন ধরে চলছে। ৯০-র দশকে স্ট্যানলি মেয়ার নামক এক মার্কিন বিজ্ঞানী জল দিয়ে গাড়ি চালানোর সাফল্য দাবি করেন।", বলল গুগুল।
"উনি জল-কে কি ভাবে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করেন? এর অপারেটিং প্রিন্সিপল-টা কি? ", বলল পটলা।
"জল হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন দিয়ে তৈরি। হাইড্রোজেন একটা অত্যন্ত দাহ্য পদার্থ, যা অক্সিজেন-র সংস্পর্শে এলে জ্বলে ওঠে এবং শক্তি বার করে। স্ট্যানলি মেয়ার এমন একটা Fuel Cell বানান যেটা প্রথমে জল-কে ভেঙ্গে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন তৈরী করে এবং তারপর হাইড্রোজেন-কে পুড়িয়ে শক্তি উত্পন্ন করে সেটা দিয়ে গাড়ি চালান।", বলল গুগুল।
"কিন্তু জল ভেঙ্গে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন তৈরি তো নতুন কিছু নয়। একেই তো electrolysis বলে। ", বলল টিটু।
"একদম ঠিক। Normally, জল ভেঙ্গে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন তৈরি করতে অনেক বেশী শক্তি লাগে। কিন্তু, স্ট্যানলি মেয়ার দাবি করেন যে ওনার আবিষ্কৃত পদ্ধতিতে অনেক কম শক্তি ব্যবহার করে জলে থেকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন তৈরি করা যায়। তারপর সেই হাইড্রোজেন-কে বার্ন করে অনেক বেশি শক্তি পাওয়া যায়। ওনার আবিষ্কারের মূল negative সাইড ছিল যে সেটা প্রচলিত Law of Thermmodynamics-র বিরোধী ছিল।", বলল গুগুল।
"তারপর কি হল?", জানতে চাইল রাজু।
"উনি ওনার আবিষ্কারের অনেক পেটেন্ট-ও নেন। অনেক তেল কোম্পানি ওনার থেকে পেটেন্ট কিনে নিতে চায়, কিন্তু উনি রাজি হননি। ওনার সন্দেহ ছিল যে তেল কোম্পানি ওনার পেটেন্ট কিনে ওনার আবিষ্কার চেপে দেবে। ওনার সন্দেহ খুব ভুল ছিল না। ১৯৯৬ সালে এক Ohio Court স্ট্যানলি মেয়ার-র আবিষ্কারকে জালিয়াতি বলে ঘোষণা করে। এরপর ১৯৯৮ সালে দুই বেলজিয়ান investor-এর সাথে resturant -এ খাওয়ার সময় হটাত করে উনি মারা যান। সম্ভবত ওনাকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয়। মনে করা হয়, তেল কোম্পানিগুলো এর পিছনে ছিল।", বলল গুগুল।
"স্ট্যানলি মেয়ার-এর মৃত্যুর পর এই আবিষ্কার-র উপর পর্দা পরে যায়। কিন্তু, গ্লোবাল ওয়ার্মিং-র জন্য আবার এই বিষয় নিয়ে আগ্রহ তৈরী হয়েছে।", বলল গুগুল।
"Recently, কারা কারা এটা নিয়ে কাজ করছে?", বলল হোদল।
"Genepax নামের এক জাপানি কোম্পানি এমন একটা গাড়ি আবিষ্কারের দাবি করেছে যেটা জলে চলে। এদের গাড়ি ১ লিটার জলে ৫০ মাইল যায়। এছাড়া আরো অনেকে এই রকম গাড়ি আবিষ্কারের কথা দাবি করেছে। এছাড়া ২০০৭ সালে, জন কান্জিউস একটা উল্লেখযোগ্য দাবি করেন। উনি লবনাক্ত জলে আগুন জ্বালানোর সাফল্য দাবি জানান। ", বলল গুগুল।
"তালে, জল দিয়ে গাড়ি চলার ভবিষ্যত কি? এটা কি সম্ভভ?", , বলল পটলা।
"এট়া একটা বড় প্রশ্ন। একটা লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো যে, কোনো University-র গবেষকরা এই রকম গাড়ির আবিষ্কার-এর দাবি করেননি। জল দিয়ে গাড়ি চলার theory এখনো কোনো University-র গবেষক প্রমান করতে পারেনি। ২০০৭ সালে Nature পত্রিকার এক কলাম-এ Philip Ball লেখেন যে জল দিয়ে গাড়ি চালানো অসম্ভব কারণ জল হল spent fuel যা hydrogen পুড়িয়ে পাওয়া যায়। জল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে গেলে The first and second laws of thermodynamics-কে violate করতে হবে। ", বলল গুগুল।
"সব শুনে মনে হচ্ছে জল দিয়ে গাড়ি চালানো এখনকার physics-এ অসম্ভব।", বলল হোদল।
"হ্যা, শুনতে ভালো লাগলেও জল দিয়ে গাড়ি চালানো কল্পনাই!", বলল পটলা।
"এতক্ষণ ধরে বকবক করে শেষে এই conclusion! তোরা পারিস-ও বটে!", বলল টিটু।
"এবার আসল কথায় আয়। কলকাতায় ঠাকুর দেখতে যাওয়া হচ্ছে?" বলল পটলা।
"আমার মাথায় একটা alternate প্লান এসেছে", বলল ভোম্বল।
"কি?", চেচিয়ে উঠলো সবাই।
Office theke likhchhi bole banglay thik mantabya korte parchhi na. Apnar lekha second post porlam. Khub bhalo laglo.
উত্তরমুছুনধন্যবাদ। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
উত্তরমুছুনদারুন খবর তো ! আপনার ব্লগ পড়ে অনেক interesting বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের বিষয়ে জানলাম। গল্পের ছলে সহজ ভাষায় কঠিন তথ্য জেনে ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগল। আপনার মতামত থেকে আরো লেখার উত্সাহ পেলাম।
মুছুনআপনার লেখার মধ্যে দিয়ে বিজ্ঞানের অনেক নতুন খবর জানা যায়, সেটা খুব ভাল। আর শুরুতে ওই ছয় বন্ধুর কথোপকথনটা গল্প হিসেবে উপরি পাওনা :)
উত্তরমুছুনধন্যবাদ।
মুছুন